ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র (LSFC)- Bangladesh 2025

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র (LSFC)- Bangladesh 2025

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র (LSFC) হল এমন কেন্দ্র যেখানে নাগরিকরা অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত পরিষেবা পেতে সহায়তা পেতে পারেন। এই কেন্দ্রগুলি ভূমি অফিসের বাইরে কাজ করে এবং নাগরিকদের সরকারি ভূমি পরিষেবা পেতে সহায়তা করার জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতি প্রদান করে। ২০২৫ সালে, বিভিন্ন জেলায় এই কেন্দ্রগুলি স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

LSFC হলো, ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র

এখন সারা বাংলাদেশে ৬৪ জেলায়, ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়েছে, একটি জেলার যতটি উপজেলা আছে, প্রত্যেকটি উপজেলায় দুইজন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ ভূমি সেবা নিতে পারবে।

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ, নাগরিককে ভূমিসেবা প্রদান করতে গিয়ে যদি কোনো ভূমিসেবা সিস্টেমে কারিগরি সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে ‘*096 100 16122*’ নম্বরে কল করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা কল সেন্টারের কারিগরি টিমের কাছ থেকে সরাসরি সহায়তা নিতে পারবেন।

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা/প্রতিনিধিবৃন্দ,

ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভূমিসেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সারাদেশে স্থাপিত ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রসমূহকে গুগল ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে, সংযুক্ত *শিটের ৮, ৯, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর কলামে* (হলুদ কালারের হেডিং দেয়া শুধু এই ৪টি কলামে) আপনাদের নিজ নিজ সহায়তা কেন্দ্রের সঠিক তথ্য পূরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। উক্ত তথ্য কেবল গুগল ম্যাপে অন্তর্ভুক্তির জন্যই নয়, বরং land.gov.bd ওয়েবসাইট এবং কেন্দ্রীয় ভূমিসেবা সিস্টেমে আপনাদের অফিসিয়াল আইডি / উদ্যোক্তা বা প্রতিনিধির ইউজার আইডি প্রদান ও নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে। অতএব, বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে *আগামী ১৪/১০/২০২৫ তারিখের মধ্যে* নির্ধারিত তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের জিপিএস পয়েন্ট ইনপুট দেওয়ার ধাপসমূহঃ

১. আপনার ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রে অবস্থান করে মোবাইলটি হাতে নিন।

২. মোবাইলের ইন্টারনেট এবং GPS (Location) অন করুন।

৩. Google Maps অ্যাপ ওপেন করুন।

৪. ম্যাপে আপনার বর্তমান অবস্থান নীল রঙের বিন্দু (Blue Dot) দিয়ে দেখাবে।

৫. সেই নীল বিন্দুর (অর্থাৎ, দোকানের/কেন্দ্রের অবস্থান) উপর লং প্রেস করে একটি পিন ড্রপ করুন।

৬. নিচে একটি কার্ড খুলে যাবে, যেখানে অক্ষাংশ (Latitude) ও দ্রাঘিমাংশ (Longitude) দেখা যাবে।

৭. অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ আলাদা করে অথবা সম্পূর্ণ লিংক কপি করে সরবরাহকৃত শিটে এন্ট্রি দিন।

প্রথম মানটি: অক্ষাংশ (Latitude)

দ্বিতীয় মানটি: দ্রাঘিমাংশ (Longitude)

এন্ট্রির জন্য শিটের লিঙ্কঃ https://docs.google.com/spreadsheets/d/1veUvpXLjONEqTL1J1BMPViJa4OqzsjMIhzydnhgpZKQ/edit?gid=1466126111#gid=1466126111

ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের জিপিএস পয়েন্ট কপি করার প্রক্রিয়া ভিডিও টিউটোরিয়াল দেয়া আছে।

প্রয়োজনে ‘096 100 16122’ নম্বরে কল করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা কল সেন্টারের কারিগরি টিমের কাছ থেকে সরাসরি সহায়তা নিতে পারবেন।

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র, সমগ্র বাংলাদেশের যারা ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র পেয়েছে, সবাইকে নিয়ে কিছু whatsapp গ্রুপ খোলা হয়েছে। এমনকি সবার পার্সোনাল গ্রুপ আছে, যে কেউ চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে পারবে। এমনকি প্রত্যেক জন যারা ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র পেয়েছে সবাই ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করেছে এবং আপনারা ফেসবুকে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন, ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র পাশে আপনাদের উপজেলা অথবা জেলার নাম,

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র কার্যক্রম

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে কোন হয়রানির ছাড়া, এবং অল্প খরচে ভূমি সংক্রান্ত যত আবেদন আছে সাধারণ মানুষ আবেদন করতে পারবে। এবং সাধারণ মানুষ কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন করবে সেটা বুঝে নিতে পারবে। ভূমি সংক্রান্ত কিছু জানার থাকলে সাধারণ মানুষ ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে সাহায্য নিতে পারবে।

সবকিছুর আবেদন অল্প খরচে, প্রত্যেকটি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে, কোন আবেদনের কত খরচ সবকিছু দেওয়া থাকবে, একটি চ্যাট আকারে, ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে যদি আপনার কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আপনি অভিযোগ দিতে পারবেন, কারণ প্রত্যেকটি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে একটি করে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা আছে।

সাধারণ জনগণ তৃতীয় পক্ষ বা দালাল ছাড়া সরাসরি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে সেবা নিতে পারবে, এটি সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।

ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র id

কেন আইডি সিস্টেম জরুরি হবে?

জবাবদিহিতা (Accountability)

– প্রত্যেক সহায়তাকারীর কাজ ট্র্যাক করা যাবে।

– কে কতগুলো নামজারি/খতিয়ান/কর প্রসেস করল, তার রিপোর্ট থাকবে। স্বচ্ছতা (Transparency)

– মানুষ নিশ্চিত হবে যে সহায়তাকারীর কাজ সরকার অনুমোদিত।

– দালাল আর সহায়তাকারীর মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হবে।

সেবা মান নিয়ন্ত্রণ

– যদি সহায়তাকারী ভুল বা অবৈধ কিছু করে, সহজেই শনাক্ত করা যাবে।

– ভালো কাজ করলে পুরস্কৃত/প্রশংসিত হওয়ার সুযোগ থাকবে।

ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশন

– অনলাইন ভূমি সিস্টেমে প্রত্যেক সহায়তাকারীর নিজস্ব লগইন থাকলে সেবা দ্রুত হবে।

– সরকারও কেন্দ্রভিত্তিক ডাটা সংগ্রহ করতে পারবে।

মানুষের আস্থা তৈরি হবে

– সেবাগ্রহীতা বুঝতে পারবে “এটা আসল ভূমি সহায়তাকারী, দালাল নয়।”

– ফলে মানুষ নির্ভয়ে তাদের কাছে যাবে।

আপনার মতামত অনুযায়ী প্রস্তাবিত ব্যবস্থা হতে পারে –

ভূমি সহায়তাকারী আইডি কার্ড (ছবি, নাম, QR কোড সহ)

অনলাইন লগইন সিস্টেম – প্রতিটি কাজ রেকর্ড হবে।

মাসিক/বার্ষিক কর্মদক্ষতা রিপোর্ট – কোন সহায়তাকারী কত সেবা দিল তা দেখা যাবে।

অভিযোগ সিস্টেম – নির্দিষ্ট আইডি নম্বর দিয়ে মানুষ অভিযোগ করতে পারবে।

ভূমির সেবা সহায়তা কেন্দ্র গুগল ম্যাপ

সাধারণ মানুষ কিভাবে জানবে যে এটি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র, ভূমি মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রত্যেকটি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রে গুগল ম্যাপ এর প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে, আপনার হাতের স্মার্টফোন থেকে আপনি সার্চ করে বের করতে পারবেন আপনার আশেপাশে থাকা ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রটি। সাধারণ মানুষ হয়রান হবে না।

আপনার উপজেলা তে কয়টি ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র আছে আপনি গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন, ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র, চালু করায় সাধারণ মানুষ অনেক উপকৃত হবেন এটাই বাংলাদেশ সরকারের আসা।

 

Leave a Comment